ক্ষমতার দাপটে সেনা সদস্য আলমগীর দেওয়ান

ক্ষমতার দাপটে সেনা সদস্য আলমগীর দেওয়ান

ক্ষমতার দাপটে সেনা সদস্য আলমগীর দেওয়ান
সেনা সদস্য আলমগীর দেওয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদন: আত্মীয় স্বজন  ও প্রতিবেশীদের জীবনে ত্রাসের রাজত্ব করে যাচ্ছে এক সেনা সদস্য আলমগীর দেওয়ান। বছরের পর বছর ধরে নির্যাতন এবং সম্পত্তি দখল করে গেলেও মুখ খুলতে ভয় পান ভুক্তভোগীরা। সেনা সদস্যের প্রভাবে অত্যাচারের নীরব কান্না করে যাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের উত্তর কাজী কসবা গ্রামের আলাউদ্দীন দেওয়ানের ছেলে সেনা সদস্য আলমগীর দেওয়ানের কাছে জিম্মি তার ফুপাতো বোন পারভীন বেগম বলেন,আলমগীর দেওয়ান সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক কয়েক দফায় তাদের কয়েকটি ঘর ভাঙচুর করেছে,রান্না ঘর ভাঙচুর করেছে, ভেঙেছে টয়লেট, মাটির তল দিয়ে যাওয়া পানির লাইনের পাইপ তোলে ভেঙে ফেলেছে,তাদের জায়গা দখল করে ব্যাক্তিগত সড়ক নির্মাণ করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলেও জানান পারভীন,বলেন বর্তমানে একটি ছাপরা ঘরে বসবাস করছেন,সে ঘরও ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন আলমগীর দেওয়ান।  এ প্রসঙ্গে আলমগীর দেওয়ান বলেন, এটা তাদের বাপ দাদার সম্পত্তি,পারভীনদের ওয়ারিশ সম্পত্তি, চান্দির জায়গা তাদের দিবো কেন? একটি পুকুর বা ডোবা আছে,সেইটা ভরে তাদের সম্পত্তি  বুঝে নেক। একই ধরনের অভিযোগ আলমগীর দেওয়ানের ফুপাতো ভাই মৃত শাজাহান বেপারীর স্ত্রী রোকশানার। রোকশানা বলেন,তার স্বামী মারা গেছে,ছেলে নাই। দিন মজুরে আমি তিনটি মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্ট করে চলি। এই আলমগীর ১০ টি বছর ধরে অত্যাচার করছে যাচ্ছেন। ব্রাদারী হক পাবে বলে সম্পত্তি দখল করে নিয়ে গেছে। ঘর বাড়ি ভাঙচুর করছে,প্রশ্রাব পায়খানার পানি সরানোর স্থান বন্ধ করে দিছে,এবার ছুটিতে আইসা গাছ কেটে নিছে। বিদ্যুৎ মিটার ভেঙে ফেলছে,এভাবে একের পর এক নির্যাতন করে যাচ্ছে আলমগীর। আর্মি বলে কোথাও কোন বিচার পাইনা। সে দাপটের সাথে বলে,আরে পারলে আমারে কিছু করিস। সদ্য গাছ কাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে আলমগীর বলেন,রোকশানার সম্মতি নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে। শুধু স্বজনদের অত্যাচার করে ক্ষান্ত নন আলমগীর,তার প্রতিবেশি মাসুম বিল্লাহ ও কামরুল হাসান বলেন,তাদের দেড় শতাংশ জায়গা টিনের বাউন্ডারি দিয়ে দখলে নিয়ে যাচ্ছেন আলমগীর। মাসুম বিল্লাহ জানান,এবার ছুটিতে এসে ১৪ মে থেকে আলমগীর মাসুমদের বাড়ির সামনে থাকা গড় লায়েকের জায়গা দখলে নিয়ে যাচ্ছে ।

ভয়ে তাকে কিছু বলতে সাহস পায়না তারা। মাসুম জানান,২৮ বছর আগে আলমগীরের বাবা, চাচা ও ফুপু থেকে তার বাবা জব্বার মাষ্টার আট শতাংশ জায়গা কিনেছে। তাদের চান্দি ও গড় লায়েক নির্ধারন করে দিলে। সে গড় লায়েকের অনেকাংশ ভরাট করে তারা একটা পজিশন তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু এই আলমগীর প্রায় সময়ই তাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করেন। এবার টিনের বাউন্ডারি দিয়ে গড় লায়েক দখল করে নেওয়ার চুড়ান্ত চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে আলমগীর বলেন,মাসুমরা আট শতাংশ জায়গার মধ্যে সাত শতাংশ দখলে আছে,বাকি এক শতাংশ অন্য জায়গায় মানে ডোবাতে নিতে হবে তাদের। ভুক্তভোগী কামরুল হাসান বলেন,আলমগীর শুধু তাদের ওপরই অত্যাচার করেন না। প্রতিবেশি রমজান,শাহীন ও আকবরদের মতো অনেকেই তার দ্বারা নির্যাতিত। কামরুল বলেন,অত্যাচার সইতে না পেরে ঝুঁকি নিয়ে আলমগীরের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেছিলেন তারা। বলেন,আমরা জানি আর্মি দেশ প্রেমিক আর আলমগীর দেশের মানুষদের উপর অত্যাচার,জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি করেন

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *